সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
১৪ বছর পর ‘ভুলভুলাইয়া’র ছবিতে অক্ষয় কুমার ‘কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়েছে র‌্যাব’ উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হারানোর পর থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ বিরোধী দল নিধনে এখনো বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে : মির্জা ফখরুল রাজশাহীর দুই জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ, ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিছিন্ন তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতারের আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রও পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা
গ্রিনকার্ড বাতিল হতে পারে যেসব কারণে…

গ্রিনকার্ড বাতিল হতে পারে যেসব কারণে…

স্বদেশ রিপোর্ট : আমেরিকায় অভিবাসীদের কাছে গ্রিনকার্ড একটি পরিচিত শব্দ। এই কার্ডের রং সবুজ না হলেও কার্ড থাকা মানে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে থাকার সবুজ পথটি পেয়ে যাওয়া। ইমিগ্রেশন বা অভিবাসন নিয়ে বর্তমান ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতিমালার কারণে গ্রিনকার্ড ধরে রাখা অভিবাসীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই কার্ডের নানা শর্ত কঠোরভাবে পালনের বিষয়ে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। নানাবিধ কারণে এই গ্রিনকার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে। আমেরিকান সরকার প্রতি বছর যেভাবে অভিবাসীদের গ্রিনকার্ড দিয়ে থাকে, তেমনি গ্রিনকার্ডের আবেদন নাকচও করে দেয়। নাকচ করে দেওয়ার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। গ্রিনকার্ড আবেদনে ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত ভুল হলে অনেক সময় গ্রিনকার্ডের আবেদন নাকচ করা হতে পারে। আবার এমন অনেক নিয়ম আছে, যেগুলো না জেনে অমান্য করার কারণেও গ্রিনকার্ডের আবেদন অগ্রাহ্য করা হতে পারে।
যেসব ভুলের কারণে গ্রিনকার্ডের আবেদন নাকচ করা হতে পারেÍএ রকম কয়েকটি কারণ পাঠকদের কাছে এখানে তুলে ধরা হল। এর মধ্যে রয়েছে-
১. আমেরিকা থেকে বাইরের কোন দেশে এক বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান করলে তার গ্রিনকার্ড বাতিল হয়ে যাবে।
২. অভ্যন্তরীণ অঙ্গরাজ্য পরিষেবা বা আইআরএস এবং অঙ্গরাজ্য আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে আয় দেখাতে ব্যর্থ হলে গ্রিনকার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে।
৩. ট্যাক্স রিটার্ন বা আয়কর দাখিলের সময় নিজেকে নন ইমিগ্রান্ট হিসেবে দায়ী করলে গ্রিনকার্ড বাতিল হতে পারে।
৪. অভিবাসীরা ১৮ থেকে ২৫ বছরে মধ্যে হয়ে থাকলে, তারা যদি মার্কিন সামরিক বাহিনীর সিলেক্টিভ সার্ভিস সিস্টেমের জন্য নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে গ্রিনকার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে।
আমেরিকান ড্রিম যা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে অভিবাসীদের আমেরিকায় স্থানান্তরের স্বপ্ন দেখায়। আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে গেলে যেসব বৈতরণী পার করতে হয় তার মধ্যে পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড বা গ্রিনকার্ড লাভ অন্যতম। এই গ্রিনকার্ডের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি মেলে।
গ্রিনকার্ড পাওয়ার কয়েক বছর পর ন্যাচারালাইজেশন পরীক্ষার মাধ্যমে আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করা যায়। এ কার্ডের মাধ্যমে অভিবাসীরা সাধারণত তিনটি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে। ১. আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ ২. বৈধভাবে যেকোনো কাজ করা এবং ৩. সরকার ও অঙ্গরাজ্য সরকার প্রদত্ত যেকোনো সুযোগ-সুবিধা যেমন ফুডস্টাম্প, মেডিকেইড ইত্যাদি সুবিধা ভোগ করা যায়। আমেরিকায় গ্রিনকার্ড পাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। তবে এটি ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভর করে, কে কীভাবে এটা লাভ করবে। আমেরিকার নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সার্ভিসের(ইউএসসিআইস) নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারীদের অবশ্যই কমপক্ষে দুটি ফরম পূরণ করতে হবে। একটি অভিবাসীর আবেদন ও একটি গ্রিনকার্ড আবেদন (ফরম আই-৪৮৫)।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877